বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন শ্যালিকা। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় বোনজামাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার আদালতের বিচারক ধর্ষক বোনজামাতাকে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
এ রায় ঘোষণার ১৪ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আরিফ হোসেন সিদারকে (৫০) ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। দন্ডপ্রাপ্ত আরিফ হোসেন মেহেন্দিগঞ্জ পৌর এলাকার অম্বিকাপুর এলাকার বাসিন্দা কালাম সিকদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার নবীনগর জিলানী বাজার এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে (আরিফ) নিজের বাবার নাম কালাম সিকদার বদল করে জাতীয় পরিচয়পত্রে আলী সিকদার তৈরি করে গভীর নলকূপ বসানোর মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। মামলার পর দীর্ঘ ১৮ বছরের পলাতক জীবনে আরিফ কখনও মেহেন্দিগঞ্জে আসেননি।
সূত্রমতে, ধর্ষণের ফলে শ্যালিকার গর্ভে জন্মগ্রহণ করা পুত্র সন্তান বর্তমানে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। সন্তানের স্বীকৃতি না পাওয়া কিশোর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এসেছিলো। সে জানায়, জীবনে প্রথমবার বাবাকে দেখে ভালো লেগেছে। তার মায়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হওয়ায় বর্তমানে সে তার নানীর কাছে রয়েছে।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানান, স্ত্রীর মামাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন আরিফ। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। তখন বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ২০০৫ সালে আরিফকে আসামি করে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভূক্তভোগী মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আরিফ পলাতক ছিলেন। বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। সূত্রমতে, আরিফকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।