নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ১২শ’ কেজি সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে স্কুলের সামনে হলুদ ইজিবাইক রেখে বান্ডিল করা নতুন বই তুলতে দেখে তারা চালকের কাছে বিষয়টি জানতে চান। ইজিবাইকের চালক বলেন, বিষয়টি স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১২শ’ কেজির বইয়ের চালানটি নতুন বাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আবদুল গফফারের দোকানের গুদামে আনা হয়েছে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী বলেন, ৪০ টাকা কেজি দরে বইগুলো প্রধানশিক্ষক তার কাছে বিক্রি করেছেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, প্রধানশিক্ষক প্রতিবছর স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যার দ্বিগুণ দেখিয়ে বই উত্তোলন করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের পর অবশিষ্ট নতুন বই বিক্রি করে থাকেন।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি নিয়মে বই বিক্রি করা নিষিদ্ধ। কোনো স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের পর বই অবশিষ্ট থাকলে প্রধানশিক্ষক সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বইয়ের সংখ্যা জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা যথাযথ মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানাবেন।
বরিশাল সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীথিকা সরকার বলেন, এসব বই সরকারি সম্পত্তি। অবন্ঠিত বই অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। প্রধানশিক্ষক গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে কোনভাবেই নিজে বই বিক্রি করতে পারবেন না। বই বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের নির্দেশ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানশিক্ষক সরকারি বই বিক্রি করে দিয়ে থাকলে অপরাধ করেছেন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনুমতি নিয়ে প্রায় পাঁচশ’ কেজি বই বিক্রি করা হয়েছে। তবে বইয়ের আসল পরিমাণ জানতে কোন তালিকা আছে কিনা বা বিক্রির মেমো রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদূত্তর দিতে পারেননি।