নির্মানের ৬০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার ও জনপ্রতিনিধিদের স্বদিচ্ছার অভাবে গ্রামীণ সড়কটি এখন চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে অসহনীয় দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। চরম অবহেলায় পরে থাকা এ সড়কটির অবস্থান জেলার বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের আকন বাড়ি ব্রীজ থেকে আঠারোগাছিয়া পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা, জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পরেছে। সড়কের মাটি ভেঙ্গে ডাঙ্গায় পরিণত হয়েছে। সড়কটি দেখে মনে হয় একটি শুকনো খাল। অসংখ্য ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চরম অবহেলার কারণে রাস্তা নির্মানের ৬০ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
সূত্রমতে, পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম আকনের বাড়ির সামনের ব্রীজ থেকে কালীগঞ্জহাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যে সড়কের এক কিলোমিটার ইটের রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মোল্লা বাড়ির সামনে থেকে কালীগঞ্জহাট ও আঠারোগাছিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের মাটির রাস্তাটি এখন সমতল ভূমির সাথে মিশে গেছে।
৮নং ওয়ার্ডের প্রবীণ ব্যক্তি আলো কাজী বলেন, পাকিস্তান আমলে এ মাটির রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত প্রায় ৬০ বছরেও সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, পৌর এলাকার মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ আমরা করিনা। এটা পৌরসভার দায়িত্ব। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আঠারোগাছিয়া মাটির রাস্তাটি সিটিসিআরপি প্রোজেক্টে দেয়া আছে। আমরা চেষ্টা করছি সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য।