বীরনিবাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বীরাঙ্গনা বেনু বেগম বলেছেন, ঘর দিয়েছে বাড়ি দিয়েছে কাপড় চোপর সবই দিয়েছে। আমাদের সুখি রেখেছে শেখ হাসিনা। আমাদের সবরকমের উপহার দিয়েছে। তাঁর জন্য আমরা জীবন দিতে চাই। আল্লাহ আমাদের সুখে থুয়েছে শান্তিতে রেখেছে। দুধে ভাতে খাচ্ছি। আমার ছেলেপেলেকে নিয়ে করেকর্মে খাচ্ছি। আল্লাজি, আমি দুধে ভাতে শান্তি খাই। ছেলেপেলেকে নিয়ে খাই। ঘর বাড়ি পেয়েছি, মর্টার পেয়েছি, ফ্যান পেয়েছি, কাপড় পেয়েছি, সবি পেয়েছি। দু,কাঠা জমি পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সময় আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। সাত দিনের ছেলেকে কে ডারায় (খালে) ফেড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি বেহুঁশ হয়ে পড়ে ছিলাম। অনেকে পানি ঢেলে ঢেলে আমার হুঁশ ফিরে আসে। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি এখন এসব পেয়ে সুখি শান্তিতে বসবাস করছি। শনিবার উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নরশিয়া গ্রামে বীরাঙ্গনা বেনু বেগমের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বীরনিবাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাবিবুর রহমান, রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নিজামউদ্দিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম। আলোচনা শেষে নরশিয়া গ্রামের বীরাঙ্গনা বেনু বেগমসহ রহিমা বেগম,চাম্পা খাতুন, রাবিয়া বেগম ও সাহাপুর গ্রামের আরবি বেগমের বাড়ির চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা প্রশাসন তুলে দেন।
উল্লেখ্য,গত ১৫ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালী সারাদেশে যুক্ত হয়ে অস্বচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প 'বীরনিবাস' উদ্বোধন ও প্রতীকি চাবি হস্তান্তর করেন। এরমধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলার পাঁচজন বীরাঙ্গনা পেয়েছেন।