শৈলকুপায় বোরো ধান চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। ধানের দাম বেশী থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশী বোরো ধান চাষ করছেন তারা। উপজেলা কৃষি বিভাগ বোরোধান আবাদে কৃষকদের উৎসাহিতকরছে। চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার কৃষককে ধানের বীজ সরবরাহ করছে। এতে বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, চলতি বছর এ উপজেলার একটি পৌর সভা ও ১৪ টি ইউনিয়নে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ছিল ১৩ হাজার ১শ ৩০হেক্টর জমি। কিন্তু বোরো ধান আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ১শ ৩ হেক্টরেরও বেশি। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান -৮৯, ব্রি ধান-৯২, ও ব্রি ধান -৮৮ ধান চাষ করছে কৃষকরা। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে। কৃষকরা এখন বোরো চাষে সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে উপজেলা কৃষি বিভাগ ১৫ হাজার কৃষককে বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করেছে।এতে কৃষকরা বোরো ধান চাষে আরো বেশী ঝুঁকে পড়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার ধলহরাচন্দ্র, শিতালী হাটফাজিলপুর, রয়েড়া, গোপালপুর, যুগনী, বগুড়া, হিতামপুর, কাতলাগাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা বোরো ধান চাষ করছে। কৃষকরা বর্তমানে জমিতে আবাদ করা ধান ঘাস পরিষ্কার করা ,সার দেওয়া সহ বিভিন্ন কাজ নিয়ে কব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামের বোরো ধান চাষী শফিউল ইসলাম জানান, ৮০শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। সব মিলে প্রায় ১২ হাজার টাকা ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে আরো হবে তবে ধানের দাম যদি না কমে তাহলে লাভ হবে। কুশবাড়িয়া গ্রামের বোরো ধান চাষী আবদুল আজিজ খান জানান, সরকার কৃষি জমি যাতে পতিত পড়ে না থাকে সেই জন্য ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার ধারা বাহিকতায় আমরা ধান চাষ বেশি করেছি যাতে দু বেলা লবন ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আনিচুজ্জামান খান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধান চাষ বেশি করেছেকৃষকরা। বোরো ধান মাঠে অনেক ভালো হয়েছে। ্এই মৌসুমে মোট ১৩ হাজার ১শ৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৪শ ৫ হেক্টর ও হাই ব্রিড ধান আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬শ ৮২ হেক্টর। এদিকে মাঠে রোগ পোকামাকড় যাতে ফসলোর ক্ষতি করতে না পারে সেই জন্য মাঠ পর্যায়ে উপসহকারি কৃষি অফিসারগন কৃষকদের নিয়মিত পরামশৃ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশা করা যায় কৃষকরা এ বছর ধানে বাম্পার ফলন পাবে। সরকার দক্ষিনাঞ্চলে বোরো ধান চাষে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ওই অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।