রাজীবপুর উপজেলায় প্রথম শ্রেণীর এক শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।এ ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারটি বিপাকে শিশুটিও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
নিপিড়নের ঘটনায় শিশুটির দাদী বাদী হয়ে শুক্রবার রাজীবপুর থানায় কাজিমুদ্দিন(৫২) এর নামে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন'কে গ্রেপ্তার করে শনিবার কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠিয়েছে। কাজিমুদ্দিনের বাড়ি কোদালকাটি ইউনিয়নের তাহের মেম্বার পাড়া গ্রামে তার পিতার নাম মেছের উদ্দিন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কাজিমুদ্দিন শিশুটিকে যৌন নিপিড়নের কথা স্বীকার করেছে বলে সাংবাদিকে জানিয়েছেন পুলিশ।
লিখিত অভিযোগ ও নির্যাতিত শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কাজিমুদ্দিন তাদের পূর্ব পরিচিত। তাদের বসত বাড়ির পার্শ্বেই তার আবাদি জমি রয়েছে। গত বুধবার ছাগলের জন্য ভূট্রা গাছের পাতা দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী একটি সেচ পাম্পের আড়ালে নিয়ে জোর পূর্বক নিপিড়ন চালায় এবং ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভয়ভিতি প্রদর্শন করে।
যৌন নিপিড়নের পর রাতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। পরে তাকে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শিশুটির দাদী জানায়, ভয়ে শিশুটি এখন বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছে না স্কুলে যেতেও অনিহা প্রকাশ করছে। রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েই কাজিমুদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।