শৈলকুপায় সাড়ে তিন ফুট উচচতা কনের সাথে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা ছেলের বিয়ে। আল আমিনের বয়স ৩২ হলেও উচ্চতা মাত্র ৪২ ইঞ্চি। বিয়ের জন্য তার কনে মিলবে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এক ধরনের দুশ্চিন্তায় ছিলেন আলআমিনের বাবা-মা। অন্যদিকে আসমা খাতুনের উচ্চতাও মাত্র ৪২ ইঞ্চি হওয়ায় তার বিয়ে নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বাবা-মা। তবে দীর্ঘ চেষ্টার পরে অবশেষে এই দুইজনের বিয়ে হওয়ায় খুশী উভয় পরিবার। শুক্রবার কুষ্টিয়ার ইবি থানার করিমপুর গ্রামে কনে আসমা খাতুনের বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়।
আল আমিন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চর-বাখরবা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আর কনে আসমা খাতুন কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার করিমপুর গ্রামের আকমল জোয়াদ্দারের মেয়ে।
বিয়ের পর নববধু আসমা এসেছেন বরের বাড়ি শৈলকুপার চর-বাখরবা গ্রামে। বিয়ের পরদিন শনিবার বর-বউ আনা-নেয়া সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। দিকে নব দম্পতিকে এক নজর দেখতে বরের বাড়িতে ভিড় করছে এলাকার মানুষ। তাদের দেখে অনেকে উপহার দিচ্ছেন তাদের।
জানা যায়,আল আমিনের বাবা আবদুল খালেক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ৫ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে আল-আমিন সবার ছোট। তিনি জানান,‘ ছোট ছেলেকে বিয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করছি এতদিন মেলেনি, এখন মিলেছে আমি ভীষণ খুশী, বাজারের অনেক মানুষের দোয়া নিয়েছি’।
আসমা খাতুনের বড় বোন শিউলী খাতুন জানান, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থানার করিমপুর গ্রামে, তার বাবা একজন কৃষক, তারা ৪ বোন ১ ভাই। শিউলী জানান, ‘এই বোন কে বিয়ের জন্য পরিবারে একটা টেনশন ছিল, শেষ পর্যন্ত বোন কে বিয়ে দিতে পেরে পরিবারের সবাই খুশী হয়েছে’। তিনি বলেন ‘বোন কে তার স্বামীর পরিবারের সবাই হাসিমুখে মেনে নিয়েছে, আনন্দ উৎসব করেই ওদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে’।
এমন বিয়ের খবরে প্রতিবেশী-আত্মীয় স্বজন সবার মাঝেই আনন্দ-উল্লাস দেখা গেছে। আল-আমিনের মেঝভাবি রিনা খাতুন বলেন, আমরা সবাই খুশী। তিনি বলেন, আমরা দোয়া করি যেন আলআমিন-আসমার সংসার সুখে-শান্তিতে চলে। আল-আমিনের ফুপু স্বর্ণা খাতুন বলেন, আল্লাহ জোড়া মিলিয়ে দিয়েছে, বউ-মা পেয়ে আমরা খুশী। খর্বাকায় এই দম্পতির বিয়ের ঘটক ছিলেন শৈলকুপার রিপন মিয়া, তিনি বলেন উভয় পরিবার তাদের সম্পর্কে আত্মীয় হয়। এর মাঝে খবর পান আসমার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজাখুজি চলছে। এই খবর পেয়ে তিনি ছেলের বাবার সাথে কথা বলেন। এরপর উভয় পরিবার দেখা-শোনার মাধ্যমে শুক্রবার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন, এমন বিয়ে দিতে পেরে তিনি আনন্দিত এবং খুশী। তাদের বিয়ের দেনমোহর করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।