লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করে বাড়ী ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে বাদীপক্ষ এমন অভিযোগ করে আদালতে মামলা করেছে ধর্ষণ চেষ্টার স্বীকার গৃহিণীর শশুর ফরহাদ হোসেন। তবে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা ও হামলার ঘটনা পুরোপুরি সাজানো এবং মিথ্যে জানিয়ে পূণঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে প্রতিপক্ষরা। সম্প্রতি ধর্ষণ চেষ্টা ও হামলার মামলাকারী পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়,কালীগঞ্জের উত্তর মুসরত মদাতী গ্রামের দুখু মিয়ার স্ত্রী সুমি(ছদ্মনাম) চলতি বছরের গত ১৭জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিউবওয়েলের পানি নিতে গেলে ওই এলাকার মৃত আজিজার রহমানের পুত্র মোঃ ওয়ারেজ আলী বুলু(৪৫) হঠাৎ সুমিকে জাপ্টে ধরে জোরপুর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে।উভয়ের ধস্তাধস্তির পর্যায়ে সুমির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বুলু পালিয়ে যায়। পরে সুমিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ওয়ারেজ আলী বুলুর বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে যাহার মামলা নং-২২(কালী)তাং-২২/১/২৩ইং। ওই মামলার দায়েরের পর সুমির শশুর ফরহাদ হোসেন কালীগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরার পথে উত্তর মুসরত মদাতীর হযরত আলীর মুদি দোকান পার্শ্ববর্তী এলাকায় ওয়ারেজ আলী বুলু ও তার সহযোগী কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা করে।এসময় ফরহাদ হোসেনকে বাচাতে এগিয়ে আসলে পরিবারের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। আহত ফরহাদসহ অন্যরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ঘটনায় থানায় মামলা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন ফরহাদ।পরে আদালতের নির্দেশে কালীগঞ্জ থানা মামলা গ্রহণ করে। যাহার মামলা নং-২৩(কালী)তাং-১৮/০২/২৩ইং।
এ বিষয়ে ওয়ারেজ আলী বুলু বলেন,ঘটনার দিন আমি উপজেলার চাপারহাট এলকায় ছিলাম।আমার বসতবাড়ীর পার্শ্ববর্তী দুই পরিবারের মাঝে বাস্তা নিয়ে ঝগড়া লেগেছে শুনে ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করি,আর ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন মামলাকারীর নিকট আত্মীয় হয় রাস্তা নিয়ে বিরোধে জড়ানো একটি পক্ষ তবে সেখানে কোনো প্রকার মারামারির ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণ চেষ্টা মামলা ও হামলার বিষয়ে ওয়ারেজ আলী বুলু বলেন, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হামলার ঘটনা পুরোপুরি সাজানো এবং ভিত্তিহীন।মামলায় একজন স্কুল ছাত্রকেও আাসামী করা হয়েছে যে এলাকাতেই থাকেন না জানিয়ে পূণরায় সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তার।
গত শনিবার ৪ মার্চ বিকেলে এঘটনার বিষয়ে এলাকায় সাংবাদিক এসেছে শুনে ভীড় করেন অনেকেই, স্থানীয় বাসিন্দা অপূর্ব জানায়, ফরহাদ হোসেন একজন নামকরা চোর ও মাদক ব্যবসায়ী।ঐ পরিবার নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করায়।এসবের প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে।এর আগেও এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে। একই এলাকার মান্নান ও লিটন মিয়া জানায়,এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে ফরহাদ হোসেন ও তার ছেলে প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দেয় তারা।বর্তমানে ফরহাদের ছেলে দুখু মিয়া মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছে।এসময় উপস্থিত প্রায় অর্ধশত জনসাধারণের দাবি এর আগেও ফরহাদ হোসেন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।উপস্থিত জনতা জানায় ওই পরিবারের নামে কালীগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী হাতিবান্ধা থানায় একাধিক চুরি ও মাদকের মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম গোলাম রসুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।