মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৭নং ফুলতলা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের ফুলতলা বাজারে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মৌরসী সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মৃত আকবর আলীর সন্তান সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া, রমজান আলী, ও আব্দুন নূর, রোববার ( ৫ মার্চ) অভিযোগ করেন, তাদের মরহুম পিতা আকবর আলীর কাছ থেকে প্রতিবেশী মৃত রফিক মিয়া ফুলতলা টি মৌজার সাবেক দাগ- ৫৬১ বর্তমান দাগ ১৭৫৮ এর ২০ শতাংশ ভূমি দলিল মূলে ক্রয় করেন। কিন্তু রফিক মিয়া আকবর আলীর মোট ২৬ শতাংশ ভূমি দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করতে থাকেন। আকবর আলীর সন্তানরা তার পিতার সম্পত্তি পর্যালোচনা করে জানতে পারেন তাদের পিতা রফিক মিয়ার নিকট ২০ শতাংশ জমি বিক্রয় করেছেন। কিন্তু রফিক মিয়া ওই দাগ থেকে ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক তার দখলে রেখেছেন।
রফিক মিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী হাসনা বেগমের সম্মতিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার এনে গত ১ মার্চ জরিপ করে অতিরিক্ত ৬ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করা হয়। হাসনা বেগম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তার স্বামীর দলিল মূলে ক্রয় করা ২০ শতাংশ ভূমি বুঝে নেন এবং তার স্বামীর দখলে থাকা ৬ শতাংশ ভূমি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন।
পরদিন মাসুক মিয়া ও তার ভাইয়েরা হাসনা বেগমের ছেড়ে দেওয়া তার পিতার ৬ শতাংশ ভূমিতে মাটি ভরাট করতে গেলে হাসনা বেগম বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে হাসনা বেগম জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এস আই সৈয়দ আবদুল মান্নান অভিযোগটি তদন্ত করে মাসুক মিয়া ও তার ভাইদেরকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।
রোববার (৫ মার্চ) সরজমিন গেলে ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বপন মল্লিক, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দছির উদ্দিন, ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল জলিল,ও সাগরনাল ইউনিয়নের সাবেক এমপি সদস্য তৈমুস আলী, ফুলতলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বিল্লাল আহমদ, শিজিল আহমদ, আব্বাস আলী সহ অনেকেই বলেন রফিক মিয়ার দখলে থাকা মরহুম আকবর আল ৬ শতাংশ ভূমি স্ত্রী হাসনা বেগম স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন। কিন্তু হাসনা বেগম থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারণ তারা জানেন না।
ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া ও তার ভাই আব্দুন নূর এবং রমজান আলী বলেন আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশ কাজ বন্ধ রাখতে বলায় আমরা কাজ বন্ধ রাখি। তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের পিতার ৬ শতাংশ ভূমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসনা বেগম বলেন আমার স্বামী ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুতে আমি এমনিতেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্য আমি জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জুড়ী থানার এসআই সৈয়দ আবদুল মান্নান মুঠোফোনে বলেন হাসনা বেগমের লিখিত অভিযুক্তিটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।