চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড- সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক পক্ষ সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে। দূর্ঘটনায় নিহত শ্রমিক আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাত ১২টার পর সীতাকু- থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সীমা অক্সিজেন প্লান্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার অনুমোদন ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাথে মজুত করে রেখেছিল অননুমোদিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন সিলিন্ডার। তাছাড়া কারখানায় অগ্নি নির্বাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিলনা। মামলায় মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতি, যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিপদজনকভাবে গ্যাস উৎপাদন, ভর্তিসহ সরবরাহ এবং নিয়মিত পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না রাখায় এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সীতাকু- থানায় দায়েরকৃত মামলায় কারখানার মালিক কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের এমডি মোঃ মামুন উদ্দিন (৫৫), পরিচালক পারভেজ হোসেন সান্টু (৪৮), আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি (৪২), কারখানার প্ল্যান্ট ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম (৪৫), প্ল্যান্ট অপারেটর ইনচার্জ সামসুজ্জামান শিকদার (৬২), প্ল্যান্ট অপারেটর খুরশিদ আলম (৫০), সেলিম জাহান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, সামিউল, শান্তনু রায়, সুপারভাইজার ইদ্রিস আলী, সানা উল্লাহ, সিরাজ উদণ্ডদৌলা, রাকিবুল, রাজীব। এছাড়াও সীaমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সীতাকুন্ড- ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ মামলাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ৪ মার্চ শনিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছে।