দূর্ণীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে খুলনার ডুমুরিয়ার লতা খামারবাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন কর্মচারী নিয়োগের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির দুইজন সদস্যসহ ২৮ জন সাধারণ অভিভাবক প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের লতা খামারবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারি,অফিস সহকারি,আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্যে ৮মার্চ বুধবার পরীক্ষার দিন ধার্য্য রয়েছে। এ দিকে এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রশান্ত মন্ডল এবং কতিপয় সহযোগি সদস্য মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহনের বিনিময়ে তাদের পছন্দমত প্রার্থী নিয়োগের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। যে কারণে স্বচ্ছতার সাথে বিদ্যালয়ে যোগ্যে কর্মচারী নিয়োগের সম্ভাবনা না থাকায় সাধারন অভিভাবক ও এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।এমনকি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটারও আশংখ্যা দেখা দিয়েছে।কমিটির বর্তমান সভাপতি প্রশান্ত মন্ডল ২০২১ সালে তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওই সকল কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল করে।পরবর্তিতে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন অসৎ সদস্যকে অনৈতিক আর্থিক সহযোগিতা করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রঞ্জন মন্ডল ও লাভলি মল্লিক বলেন, নিয়োগ বোর্ড গঠনের সময়ে মিটিং এ আমাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিভাবক সদস্য তাপস মন্ডলের নাম দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তিতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাদের মিশন বাস্তবায়ন করতে কৌশলে তাপস কে বাদ দিয়ে কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য পুস্পল মন্ডল কে নিয়োগ বোর্ডে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। যে কারণে স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পরিবর্তে প্রহনমূলক নিয়োগ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে বলে আমরা ধারনা করছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রশান্ত মন্ডল বলেন,স্কুলে কর্মচারী নিয়োগে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। কোন দূর্ণীতি অনিয়মকে আমি প্রশ্রয় দিবোনা।স্বচ্ছতার মাধ্যমে যাতে নিয়োগ সম্পন্ন সে ব্যপারে আমার কঠোর ভূমিকা থাকবে। নিয়োগ বোর্ড থেকে অভিভাবক সদস্যকে সরিয়ে শিক্ষানুরাগী সদস্যকে অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন,এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ তার ইচ্ছে মাফিক কাজ করেছেন।আমার কোন ভূমিকা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষক তপন কুমার মল্লিকের মোবাইল ফোনে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান জানান,বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা গ্রহনের জন্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।