চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দৌরত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যত্রতত্র বালু উত্তোলন- মজুদ করে রমরমা ব্যবসা করে আসছে অনেকেই। দুইটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চন্দনাইশ উপজেলা। সরকারি তথ্য মতে চন্দনাইশ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়া বরুমতি খালের হাশিমপুর ও তৎসংলগ্ন পৌরসভা অংশে মাত্র ২টি বালু মহল রয়েছে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজেলার বৈলতলী খোদার হাট, বরকল ব্রীজ ও কানাইমাদারী ঘাটঘর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মজুদ করে বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে চন্দনাইশ - সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমক্তা শঙ্খ নদে কোন বালু মহল নেই তবে শঙ্খ নদের সাথে সংযুক্ত সাতকানিয়া ডলু খালের মুখ নামক স্থানে একটি বালু মহল রয়েছে। কিন্তু অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা শঙ্খ নদ ও চাঁনখালী খালে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও মজুদ রেখে বিক্রি করে চলছে এসব ব্যবসায়ীরা। যা আইনগত অবৈধ হলেও বালু ব্যবসায়ীরা নির্বিঘেœ দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। তারা ধানি জমি ও রবি শষ্য উৎপাদনকৃত বিস্তৃর্ণ এলাকা দখল করে বালু মজুদ করে রেখেছে। শঙ্খ নদ কিংবা চাঁনখালী খালে প্রতিনিয়ত প্রায় ১৫-২০টি ড্রেজার আনাগোনা করলেও এতে অধিকাংশ ড্রেজারের ফিটনেস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই বললেই চলে। চট্টগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা শওকত ইবনে শাহীদ বলেন -বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের একতিয়ারভূক্ত না হলেও নদ বা খালে যত্রতত্রভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বেঁড়ি বাঁধ বা খালের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সর্ব সাধারনের ক্ষয় ক্ষতি রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। চলতি মাসে পৃথকভাবে ২বার অভিযান চালিয়ে উপজেলার বরকল ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মজুদকৃত বালু পরিবহণ বিপণন ও সরবরাহে জড়িত থাকায় বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০এর ১৫(১)ধারায়্ উত্তর কেশুয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন (৪২) কে ২লক্ষ টাকা এবং পরদিন একই এলাকার জামাল হোসেন (৫৫),শাহাব উদ্দিন(৪৫),আহসান হাবিব(৩৮) ও আবদুল মান্নান(৩০)কে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিমরান মো: সায়েক বলেন, মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ছাড়া বালু মহল হিসাবে ব্যবহার করা অইনগতভাবে অপরাধ। বিধায় অবৈধভাবে বালু মজুদ-বিক্রি বিপনণন সরবরাহে জড়িত থাকায় বিভিন্ন ্স্থানে কয়েক বার অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।