ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আবু জাফর সিদ্দিক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন সিদ্দিকের চাচাত ভাই আওলাদ হোসেন(২৫)।
ববু জাফর সিদ্দিকের (৩৩) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক খোকার ছেলে।
নিহত আবু জাফর সিদ্দিক মঙ্গলবার সকালে তার নির্মানাধীন নিজ বাড়ির জন্য চাচাত ভাই আলাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে স্যানেটারি পণ্য আনতে যান ঢাকার ওই মার্কেটে। কেনা-কাটা শেষে বিকেলে ক্যাফে কুইন রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।এসময় বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে যাওয়া চাচাত ভাই আলাদ হোসেনের (২৫) শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। বর্তমানে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত আবু জাফর সিদ্দিকের ভগ্নিপতি সজীব জানান,পরিবারে সবাইকে নিয়ে সিদ্দিকরা ঢাকা বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়ি ঘর নির্মাণ করার জন্য বাড়িতে এসেছিল। সেখানে
নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ করছিলেন।বিস্ফোরণের দিন ঢাকায় গিয়েছিলেন বাড়ির স্যানেটারি মালামাল আনতে। তখন ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, সিদ্দিক খুব ভালো ছেলে হিসেব এলাকায় পরিচিত ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
বুধবার সকালে নিজ এলাকায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এরআগে মঙ্গলবার রাত তিনটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন কতৃপক্ষ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়।