কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর বাজারস্থ মাদ্রাসার সামনে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ভিবাটেকের চালক রাব্বি মিয়া (১৬) কে এক দল যুবক হোন্ডা চুরির সন্দেহে বেদড়ক ভাবে পেটালে গুরুতর আহত হয়। পরে রাব্বি মিয়া (১৬) কে গুরুতর আহত অবস্থায় কুলিয়ারচর সরকারি হাসতাপালে ভর্তি করা হলে পরের দিন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ব্যাপারে গত শনিবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠান। ভিবাটেকের নিহত রাব্বির পিতা মির্জা আলী বাদী হয়ে ছরুয়ার উরফে ছরু, ইমরান মিয়া সহ ৩-৪ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত রাব্বির গ্রামের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের মির্জা আলীর ছেলে। রাব্বি হত্যা মামলার আসামি এমরান মিয়া (৩০) কে পুলিশ গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে। তার পিতার নাম ধনু কসাই কুলিয়ারচর বাজার। নিহত রাব্বির পিতা মির্জা আলী দাবি করেন, তার ছেলে রাব্বিকে যারা খুন করেছে তিনি তাদের বিচার চান। তিনি আরো বলেন, পুলিশ এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি এমরানকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামি ছরুয়ার উরফে ছরুকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তুফা এই প্রতিবেদককে বলেন, রাব্বি হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি এমরান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।