নওগাঁর মহাদেবপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক সুইট হোসেনকে মারপিটের মূল হোতা চকরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হায়দার আলী এখনও পলাতক রয়েছে। থানা পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তিনি স্কুল থেকে ছুটিও নেননি।
গত ৫ মার্চ এ ব্যাপারে প্রহৃত সাংবাদিক বাদি হয়ে মহাদেবপুর থানায় আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনকে আটক করে পরদিন নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়। বিজ্ঞ বিচারক এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম নামে একজনকে জামিন দেন এবং অপর দুজন আবদুস সাত্তার ও ইলিয়াস হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। পরদিন এই মামলার আসামি আজাদুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, ওয়াছের আলী ও শহীদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন দেন। কিন্তু মামলার ১নং আসামি হায়দার আলী মাস্টার পলাতক রয়েছেন। সাংবাদিককে মারপিটের সময় স্থানীয়দের তোলা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় মারপিটের শিকার সাংবাদিক মোটরসাইকেলে ওঠে পালানোর সময়ও মাস্টার হায়দার পিছন থেকে ঘুষি মারছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাফিয়া আকতার অপু জানান, শিক্ষক হায়দার আলী অফিস থেকে কোন ছুটি নেননি। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ১নং আসামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, চকরাজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা গত ৫ মার্চ সকালে স্কুলপ্রাঙ্গনে মানববন্ধন পালন করেন। জানতে পেরে এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য দুপুরে সাংবাদিক সুইট ওই স্কুলে গেলে শিক্ষক হায়দার আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সুইট হোসেনর উপর চড়াও হয়। তারা সুইটকে বেদম মারপিট করে তার ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নেয়।