রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মারা যান আওলাদ হোসেন মুসা (৩৭)। সে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়ান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত জামান শফিকের ছেলে এবং মঙ্গলবার বিস্ফোরণে নিহত আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের চাচাতো ভাই। তার একাধিক নিকট আত্মীয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়।বার্ন ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন এস.এম. আইয়ুব জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় নিহতের লাশ নিয়ে আসা হয় তার নিজ বাড়ি বালুয়াকান্দি ( পশ্চিমপাড়া) গ্রামে। সকাল ৯ টায় বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে নিহতের লাশ তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তারেকের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
নিহত আওলাদ হোসেন মুসা পেশায় একজন ফার্মেসি ও হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল মারা যাওয়া আবু জাফর সিদ্দিক তারেক (৩৪)এর চাচাতো ভাই। বয়সে আওলাদ হোসেন মুসা তারেকের তিন বছরের বড়। স্যানেটারি মালামাল কেনার জন্য তারেক তাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল। এক বছর আগে বিয়ে করে সে। তার স্ত্রীর নাম তামিমা আক্তার। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিল আওলাদ হোসেন মুসা।
এদিকে একই গ্রামের দুই তরুণের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ।