খুলনার পাইকগাছায় পাউবো ও সরকারি জায়গা থেকে জনৈক বাবলু ও আলিম মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। মাটি চোর বাবলু ও আলিম প্রশাসনের দোহাই দিলেও প্রশাসন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হন্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের পাউবোর ১০/১২নং পোল্ডারে ফতেপুর মৌজায় স্লুইচ গেট সংলগ্ন ও কপোতাক্ষ নদ চরভরাটি জায়গা থেকে স্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে পাশ্ববর্তী এডিবি ব্রিকস্ ও বিবিএম ব্রিকস্ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের স্থানীয় একঝাক কর্মী বুধবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গেলে পাউবো ও সরকারি জায়গায় স্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে পাশ্ববর্তী ইটভাটায় বিক্রি করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভেকু ড্রাইভার জানান, বাবলু ও আলিম আমাকে ঘন্টা চুক্তিতে মাটি কাটাচ্ছে। তারা নাকি সরকারের কাছ থেকে মাটি কিনেছে। তাই তারা এ মাটি কেটে পাশ্ববর্তী ইটভাটায় বিক্রি করছে। অভিযুক্ত বাবলু জানান, উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেনের নির্দেশে মাটি কাটা হচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমকে জানালে তিনি দেখছেন বলে মোবাইল কেটে দেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন জানান, আমি বাবলু নামে কাউকে চিনি না। আর আমি সরকারি জায়গা থেকে কাউকে মাটি কাটার অনুমতি দেইনি। কেউ আমার নাম ব্যবহার করে সরকারি জায়গা থেকে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরেক অভিযুক্ত আবদুল আলিম বেমালুম অস্বীকার করেন। পাউবো'র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর উপ-সহকারি কর্মকর্তা রাজু হাওলাদার জানান, মাটি চোরদের বার বার নিষেধ করা স্বত্বেও পাউবো কে কঠাক্ষ করায় থানায় জিডি করা হয়েছে। ভাঁটা মালিক এডিবি ব্রিকসের মালিক আবদুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে, চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াসের দোহাই দেন। ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।