উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের। আদালতের নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গৌরনদী মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের বাসুদেব শঙ্খ বনিক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত তাদের বসতবাড়ির ৫২ শতক জমি নিয়ে বাটাজোর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাবেক সদস্য (সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী) কামাল খন্দকারের সাথে জমির মালিকানা নিয়ে মামলা চলে আসছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত বছর বিরোধীয় জমিতে কামাল তার সহযোগিদের নিয়ে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ওইসময় উচ্চ আদালত থেকে ওই জমির ওপর স্থিতিবস্থা জারি করা হয়। স্থিতিবস্থার মধ্যেই অতিসম্প্রতি বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বাসুদেব আরো অভিযোগ করে বলেন, আদালতের আদেশের কপি থানায় জমা দেয়া সত্বেও থানা পুলিশের নিরবতায় কামাল ও তার লোকজনে জোরপূর্বক বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ বলেন, বিরোধীয় জমিতে আট সপ্তাহের স্থিতিবস্থার মধ্যেই স্থায়ী স্থিতিবস্থার জন্য সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করেছেন মামলার বাদী বাসুদেব শঙ্খ বণিক। ফলে পূর্বের স্থিতিবস্থা এখনো বলবৎ রয়েছে। এরপরেও থানা পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ না করে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। যেকারনে গত ৭ মার্চ গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন ও এসআই নাসির হোসেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশের জবাব না দেয়া হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে কামাল খন্দকারের ব্যবহৃত (০১৭১৫-৫৪৫১২০) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. নাসির হোসেন বলেন, বিরোধীয় জমি নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের সর্বশেষ নির্দেশনা পালনের জন্য কামাল হোসেনকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনও লিগ্যাল নোটিশের কোন কপি হাতে পাইনি।