পাবনার সুজানগরের লাইব্রেরি গুলোতে নিষিদ্ধ গাইড ও নোটবই বাণিজ্য জমজমাটভাবে চলছে। এতে একদিকে অভিভাবকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা গাইড ও নোটবই নির্ভর হওয়ায় মেধা শূন্য হয়ে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় ৪২টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানুয়ারী মাসে এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে ভর্তি হওয়া মাত্র গাইড ও নোটবই কিনতে লাইব্রেরিতে ভীড় করে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গাইড ও নোটবই কিনতে উৎসাহিত করায় শিক্ষার্থীরা গাইড ও নোটবই কিনে থাকে। আর এ সুযোগে উপজেলার লাইব্রেরিগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে জমজমাটভাবে গাইড ও নোটবই বই বাণিজ্য করে। উপজেলার দুলাই উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন শিক্ষার্থীদের গাইড বা নোটবই সম্পর্কে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু জানুয়ারী মাসে এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর পরই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের গাইড ও নোটবই কিনতে নির্দেশ দেন। শুধু তাইনা অজ্ঞাত কারণে শিক্ষকরা কোন প্রকাশনীর গাইড ও নোটবই কিনতে হবে শিক্ষার্থীদের সেটাও বলে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন শিক্ষকরা ব্যক্তিগত স্বার্থে শিক্ষার্থীদের গাইড ও নোট বইকিনতে উৎসাহিত করেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয় তাদের পছন্দের ওই প্রকাশনীর গাইড ও নোটবই চড়া দামে কিনতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন নিষিদ্ধ গাইড ও নোটবই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন রয়েছে। তবে আইন বাস্তবায়নে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় দেশের সর্বত্র একইভাবে গাইড ও নোটবই বিক্রি হয়।