পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা বিরোধের জেরে নামীয় সম্পত্তি জবর দখল,দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১১মার্চ) উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে মাহবুবুল হক খান এবং তারিকুল বারী খান ও আবু হানিফ গংদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধকৃত সম্পত্তি নিয়ে ইতঃপূর্বে স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিশী বৈঠক হলেও কোন নিস্পত্তি না হওয়ায় মাহবুবুল হক খান সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে থানায় একাধিক শালিশ হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার (১০ মার্চ) উভয়পক্ষের আইনজীবী ও স্থানীয় প্রধানবর্গের উপস্থিতিতে সাঁথিয়া থানায় শালিশী বৈঠকে বসে। হানিফ পক্ষের ওয়ারিশগণ উপযুক্ত প্রমানাদি দেখাতে না পারায় আগামী ২০ এপ্রিল পূনরায় শালিশী বৈঠকের দিন ধার্য্য হয়। এরই জের ধরে শনিবার (১১মার্চ) বিরোধকৃত ভূমিতে থাকা মাহবুব হক খানের দোকানপাট তারিকুল বারি ও হানিফগংরা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় হামলাকারীরা মাহবুব হক খানকে মারধর করে ও তাঁকে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ মাহবুবুল হককে উদ্ধার করে।
মাহবুবুল হক জানান, উপজেলার রামচন্দ্রপুর মৌজার ২৯৮ খতিয়ানের ১৭২৬ দাগে ১২ শতাংশের মধ্য হতে ৩ শতাংশ জমি আমি ক্রয় করিয়া সেখানে দোকানপাট করে ব্যবসা করে আসছি। ভাংচুরকৃত দোকানপাটের জায়গা তাদের ৪ ভাইয়ের নামে ক্রয় করা। ভূলক্রমে আমার বড় ভাই আবদুল বারি খানের নামে আরএস রেকর্ড হয়। এ ব্যাপারে রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তারিকুল বারি খান জানান, আমি আমার বাবা আবদুল বারী খানের নামে রেকর্ডকৃত ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে নিজ নামে খারিজ করেছি। আমার জায়গায় মহবুবুল হক ঘর করে দখল করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।