‘দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থা (ডপ্স) এর আয়োজনে জেলা ব্যাপী ঝরে পড়া রোধে জুনিয়র মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ১০ মার্চ (শুক্রবার) ১৫ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় জেলার ৫ উপজেলার ১৩২ টি স্কুলের নবম শ্রেণির ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ মেধাবী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পরির্দশন করে চুড়ান্ত মেধাবী ও দরিদ্রতার মানদণ্ডে মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। তাদেরকে নিয়মিত শিক্ষা উপকরণ এবং উচ্চতর শিক্ষা লাভে দিক নির্দেশনা দেয়াসহ ডপস কর্তৃক নির্ধারিত সুবিধাসমূহ প্রদান করা হবে।
এবার শেরপুর জেলার ১৩২টি স্কুল থেকে মোট ৭০১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শ্রীবরদীর ৩৫টি স্কুল থেকে ১৮২ জন, ঝিনাইগাতীর ৩০টি স্কুল থেকে ১৩৩ জন, নালিতাবাড়ীর ২১টি স্কুল থেকে ১২৬ জন, শেরপুর সদর উপজেলার ৩২টি স্কুল থেকে ১৫৬ জন এবং নকলা উপজেলার ১৪টি স্কুল থেকে ১০৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এসব পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সেনা সদস্য মো. শাহিন মিয়া, বিএসপি ‘বিশিষ্ট সেবা পদক ও জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থা (ডপ্স) প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনটি প্রায় এক যুগ ধরে ঝরে পড়া রোধে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারই প্রথম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আলাদাভাবে মেধা যাচাইয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছে।