মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করনের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে লালমনিরহাটে শিক্ষকদের মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মোসাব্বর নামে এক সহকারী শিক্ষক।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকদের দাবী আদায়ের বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
অসুস্থ শিক্ষক হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে সকাল ১১টায় জেলার প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড় চত্বরে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় করণে দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। পরে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা মিছিল নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানেই শ্লোগান দিতে দিতে ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা সভাপতি কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। তবে বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে করে শিক্ষকদের আয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পরেছে, তাই আজ আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় দাড়িয়েছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আর মাত্র ২শতাংশ সরকারি। দেশের শিক্ষা নীতি ও পদ্ধতি একটি হলেও বেতনের ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পায় অর্ধেকেরও কম। এই বৈষম্য দূর করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি খায়রুজ্জামান মন্ডল বাদল, সাধারন সম্পাদক দীনেশ চন্দ্র, আদিতমারীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম কাজল, কালীগঞ্জের সভাপতি নজরুল ইসলাম, হাতিবান্ধার মজিবর রহমান ও পাটগ্রামের সভাপতি আবদুল ওয়াব প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বৈষম্য দূরীকরণ, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া এবং সকল বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়।আর আগামী ২০ মার্চের মধ্যে এসকল দাবি মেনে না নিলে ঢাকায় বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তেলার হুমকি দেন উপস্থিত শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠান শেষে সকল শিক্ষকগণ অসুস্থ সহকারী শিক্ষক মোসাব্বরকে হাসপাতালে দেখতে যান এবং মহান আল্লাহর নিকট দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।