সরকারিভাবে কোন বালু মহাল ইজারা নেই। কিন্তু নদীর বালু খেকোরা হাইকোর্টের আদেশ,বরিশাল মুন্সীগঞ্জ শরীয়তপুর নৌ সীমানা বলে তাদের জেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে মর্মে নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘ বছর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হলেও দুর্বৃত্তরা আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালত বিষযটি অবগত হয়ে চাঁদপুর মেঘনার অবৈধ
বালু কাটা বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও থেমেই বালুখেকো দুর্বৃত্ত চক্রের অপতৎপরতা। তারা সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের চোখ আড়াল করে রাতের অন্ধকারে ড্রেজার বসিয়ে বালু কেটে বিক্রি করছে। এমন অভিযোগ নদী তীরবর্তী এলাকার স্থানীয় মানুষের। এই অবৈধ বালু কাটা বন্ধে বিভিন্ন এলাকার গ্রামবাসীকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।
এমন অবৈধভাবে বালু কেটে অন্যত্র নিয়ে যাবার সময় বালুভর্তি নয়টি জাহাজ জব্দসহ ১০ শ্রমিককে আটক করেছে স্থানিয় ঈশানবালা পুলিশ।
১২ ই মার্চ (শনিবার) আনুমানিক রাত ২ টার সময় হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহের চর থেকে বালুর জাহাজগুলো ধরা হয়।
চাঁদপুর জেলাধীন হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন নৌ সীমানায় শরীয়তপুরের চিহ্নিত একটি চক্র ৮/১০ টি অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালি নিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাতে বাহেরচর পুলিশ ঈশানবালা খালে বালু ভর্তি ৯টি জাহাজ আটক করে।
হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনায় বাহেরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আইসি মর্ম সিং অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি ভর্তি ৯টি জাহাজ ও ১০ জাহাজ শ্রমিককে আটক করে বলে জানা যায়।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ শরীয়তপুর প্রশাসন গেলে বলে বালু মহাল চাঁদপুরের আর চাঁদপুর প্রশাসন অভিযানে গেলে বলে বরিশাল নৌ সীমানায় তারা বালু উত্তোলন করছে। এমন কথা বলে যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রশাসনকে থোকা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দাবি জানান।
এই বিষয়ে হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে বোট ও শ্রমিক আটক করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা দিবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।