জীবনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষকতা করেছি। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। তারা সবাই দেশ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। প্রায় ২০ বছর হলো শিক্ষককতার মত মহান পেশা থেকে অবসর নিয়েছি। অবসর জীবনে কেমন আছি, পরিবার পরিজন কেমন আছে, কিভাবে সময় কাঁটছে কেউ কোন দিন খোঁজ নেয়নি। এত বছর পর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সংবর্ধিত হতে পেরে কর্মজীবনের ন্যায় অবসর জীবনেও নিজেদের ধন্য এবং গর্বিত মনে করছি। এত সুন্দর আয়োজন করে সবাইকে একত্র করে সংবর্ধনা প্রদান করায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা পরিবারের নিকট কৃতজ্ঞ। পৃথিবীতে বাকী যে কয়টা দিন বেঁচে থাকবো সুন্দর এই আয়োজন ও সুন্দর এই মুহূর্ত চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা পরিবার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এভাবেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত ১৭০জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, ১জন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ১জন শিক্ষা অফিসের কর্মচারীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, ইউআরসি ইন্সট্যাক্টর ইমান উদ্দীন, প্রাক্তন উপজেলা শিক্ষা অফিসার খান মো. আলমগীর। মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষক দীপক কুমার মন্ডল। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মীর্জা মিজানুর আলম, শেখ ফারুক হোসেন, আলমগীর হোসেন, দেবাশীষ দাশ, আছাদুজ্জামান, ঝংকার ঢালী, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ, সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিএম আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসকে আসাদুল্লাহ মিঠু, প্রাক্তন শিক্ষক এসএম মোজাম্মেল হক, আলহাজ¦ মোহাম্মদ আলী মোড়ল, আবদুল খালেক, নরেশ চন্দ্র মন্ডল, শেখ তফিল উদ্দীন, প্রভারঞ্জন বিশ^াস, শিক্ষক লুৎফর রহমান, নিতাই পদ মিস্ত্রী ও মহাসিন আযম প্রমুখ।