ভোলার লালমোহনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতী (৩০) কে একাধিক বার বধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পৌর বযুবলীগের সহ-সভাপতি ও কথিত ফিল্ম স্টার জীবন খানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই যুবতী গত সোমবার দুপুরে লালমোহন থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত ২০০৩) এর ৯ (১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং জি,আর ১৯/২৩ ইং, তারিখ ১৩/৩/২৩ ইং। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই যুবতী অভিযোগ করেন, গত ১ বছর আগে লালমোহন পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি জীবন খান সাথে তার লালমোহন বাজারস্থ “লং লাইফ সু স্টোরে” জুতা খরিদ করিতে গেলে তাদের পরিচয় হয়। বিভিন্ন সময় জীবন খান তাকে ফোন করে বিয়েসহ নানান প্রলোভন দিখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, জীবন খান বিভিন্ন সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতো। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকালের দিকে জীবন খান ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে লালমোহন পৌরসভার নয়নী গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড জীবন খানের বন্ধু জনৈক হারুনের খালি বাসায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে ওই যুবতীকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে নানান অজুহাতে পুনরায় ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই যুবতী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানালে তাকে বিয়ে করার জন্য জীবন খানকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে জীবন খান তার সহিত সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং তার বন্ধু বান্ধব দিয়ে তাকে ভিবিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখায় ও হুমকি দামকি দিতে থাকেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত ৩ মার্চ দুপুরে ওই যুবতী বিয়ের দাবিতে জীবন খানের লালমোহব পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাড়ীতে গেলে জীবন খান ও তার পরিবারের লোকজন তার সাথে অসুভ্য আচরণ করে এবং তার উপর হামলার চেষ্টা করেন। এতে তিনি সহ্য করতে না পেরে সেখানেই বিষপাণ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও লালমোহন থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে ৪ দিন ধরে চিকিৎসা নেন। যার রেজিঃ নং- ১৪৬০/২১ইং। এ ঘটনায় গত ৭ মার্চ লালমোহন পৌর যুবলীগ অফিসে তার বন্ধু বান্ধবরা এক শালিস বিচারের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে তার বাবার সামনে ওই যুবতীকে নানা ভাবে অপমান মূলক কথাবার্তা বলে কোন ফয়সালা না দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে চলে যেতে বলেন এবং এই বিষয়ে আর ভাড়াবাড়ি না করার জন্য নিষেধ করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী যুবতী। এই বিষয়ে অভিযুক্ত লালমোহন পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি জীবন খান জসিম এর ব্যবহৃীত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কোটে দেয় এবং পরবর্তীতে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।