কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা সহ প্রায় ১১টি ইউনিয়নে (ভিপিডিপি) বিদ্যুৎ বিভাগের বুধবার সমস্ত দিনে অন্তত ৪০-৫০ বার বিদ্যুৎ উঠানামা করেছে। এই বিদ্যুৎ উঠানামার ফলে প্রতি মিটারে ১ ইউনিট থেকে তথোধিক ইউনিট গ্রাহকের ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের সাথে যোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও বাজিতপুর পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ২৭ হাজার থেকে ২৮ হাজার গ্রাহকরা এই ইউনিট নিয়ে যেমন ভেলকিবাজিতে পড়ছেন, তেমনিভাবে বিদ্যুৎ লোড শেডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের লেখপড়া বিগ্ন ঘটছে মারাত্মক ভাবে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে জাতীয় গ্রিটের সমস্যার কারণে তাদের যে চাহিদা থাকা দরকার সেই চাহিদারও তারা জাতীয় গ্রিড থেকে অর্ধেক পাচ্ছেন বলে সংবাদকর্মীদের নিকট দাবী করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রাহক এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি মাসে মাসে মিটারের সাথে বিদ্যুৎ বিলের মিল না থাকার কারণে অফিসের কর্মকর্তাদের নিকট গিয়ে তাদের ধর্না দিতে হয়। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডাররা কোন মিটার চেক না করে অফিসে বসে মনগড়া মত গ্রাহকের বেশি বিদ্যুৎ বিল করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা বলছেন, লোকবলের অভাবে ৩ মাস অন্তর অন্তর গিয়ে মিটার চেক করে তারা গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল দেখে বিল দিচ্ছেন। এই বিষয়ে বাজিতপুর (ভিপিডিপির) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন যাতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বেশি না নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বাজিতপুরে আগের তুলনায় বিদ্যুৎ বকেয়া বিল অনেক কমে এসেছে। তিনি আরও জানান, জাতীয় গ্রিটের সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উঠানামা করছে বলে উল্লেখ করেন।