রাজশাহী পুঠিয়া-নন্দনগাছি ২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজে নিয়োজিত এলজিইডি কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে বলে সড়ক সংস্কার এলাকা হতে অভিযোগ উঠেছে। পুঠিয়া এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ইং অর্থ বৎসরের গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ এর আওতায় পুঠিয়া রাজবাড়ি বাজার হতে চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি সড়কের বালাদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত, ১.৯৪০ মিটার সড়কটি সংস্কারের কাজ চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। কাজটি করছে মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি কাজ শুরু হয়, ১৫ নভেম্বর হতে ২০২২,আর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ১৪ মার্চ ২০২৩ইং। কান্দ্রা গ্রামের সোহেল উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার প্রথমে নিম্নমানে ইট দিয়ে সড়কের পাশে থাকা ডোবার রিটাং ওয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে ছিল। কিন্তু এলাকাবাসীদের বাধার মুখে খারাপ ইটগুলো ব্যবহার করতে পারিনি। তারপর, রিটাং ওয়াল রক্ষা করার জন্য যে পিলারগুলি ব্যবহার করার হচ্ছে। তা সড়কে একটু বেশি ওজনের ১০ চাকার ট্রাক গেলে রিটাং ওয়াল ভেঙে পুনরায় ডোবাই চলে যাবে। জিয়া নামের ব্যক্তি বলেন, সড়কের রিটাং ওয়ালগুলো প্লাষ্টার করা হচ্ছে না। সড়কের যে স্থানগুলোতে ডোবাই রিটাং ওয়াল দেওয়া হচ্ছে, শুধুমাত্র খারাপ কাজের জন্য, আগামী বর্ষা মৌসুম এলে এগুলো ভেঙে পড়বে। চুইনা পাড়া গ্রামের রকি আহম্মেদ বলেন, উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাদের অনিয়ম গাফিলতির কারণে, ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। ঠিকাদারের লোকজন করছে, সংশ্লিষ্ট অফিসের দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে সড়কে দেখা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আগে সড়ক নির্মাণ করতে প্রতিটি সামগ্রীর দাম কম ছিল। বর্তমানে সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, এ সড়কের কাজ খুব ভালো আশা করার যায় না। তারপরও আমরা ভালো কাজ করানো চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ ফখরুল আমিন পক্ষের ঠিকাদার,হারুনুর রশিদ চঞ্চল বলেন,আমরা কোনো খারাপ কাজ করি না। আমরা এর চেয়ে বড় বড় কাজ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, আমার জানা মতে কাজটি ভালো হচ্ছে। এলাকাবাসী যে খারাপ কাজের অভিযোগ তুলছেন এটা সঠিক না। আমার সবসময়ে কাজের তদারকি করছি।