যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলার আসামি কামরুল হাওলাদার ওরফে মাদক কামরুলকে (৩৫) আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে শাহী মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার দুপুরে রেজওয়ান আহমেদ ওরফে রোকন (৩২) নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে কামরুল হাওলাদার ও তার সহযোগি শহিদুল আটকে রাখে। বিষয়টি জানার পর রোকনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে অভয়নগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোকনকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কামরুল হাওলাদারকে আটক করে। আটক কামরুল হাওলাদার গুয়াখোলা গ্রামের মৃত গণি মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে শনিবার (১৮ মার্চ) অভয়নগর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন তানিয়া খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে তানিয়া খাতুনের স্বামী রেজওয়ান আহমেদ ওরফে রোকন একজন কাঠ ব্যবসায়ী। শুক্রবার দুপুরে তিনি কাঠ নিয়ে গুয়াখোলা গ্রামের শাহী মোড় এলাকায় তাবলীগ মসজিদের পাশে পৌঁছান। এ সময় রোকনকে আটকে রেখে কামরুল হাওলাদার ও তার সহযোগি একই গ্রামের রেলবস্তির অমর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি জানার পর রোকনের স্ত্রী ৯৯৯-এ ফোন করে তাঁর স্বামীকে উদ্ধারের আবেদন করেন।
আটক কামরুল হাওলাদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রোকনের কাছে পাওনা টাকা চেয়ে বিপদে পড়েছি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক কামরুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা, একটি অস্ত্র, বিষ্ফোরক, জুয়া, মাদক, লুটপাট, চুরি, মারপিট ও ছিনতাইসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর পলাতক আসামি আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।