ভূয়া ও মৃত ব্যক্তির নাম সংযোজন করে তালিকা প্রণয়ন এবং দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে রংপুর জেলা জুয়েলারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বেলা ১২টায় নগরীর বেতপট্টিস্থ রংপুর জেলা জুয়েলর্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ের নিচে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম বাসার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জয়েলারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু রংপুরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা তাদের পদকে দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রতিদ্বন্দ্বিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়াসহ হয়রানী, ভয়ভীতিসহ বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছেন। গত ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর রংপুর বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু পরে জানতে পারি তারা ভূয়া ও মৃত ব্যক্তির নাম তালিকা প্রণয়ন করে অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচন করার পায়তারা করছেন। সে কারণে আমি ভোট প্রত্যাখ্যান করি এবং অবৈধ ভোট বন্ধের বিরুদ্ধে রংপুর বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। যার মামলা নং-১০৫৮/২০২১। মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে আমিসহ আমার প্যানেলের অনেক সদস্যদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে আসছেন অবৈধ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়া রংপুর বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের অবৈধ সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক একক সিদ্ধান্তে ওই অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করায় সদস্যদের বিভিন্ন হয়রানি ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সম্প্রতি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়। এ ছাড়া আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে ১৮ মার্চ সকালে অবৈধ কমিটি অন্য জায়গায় সাধারণ সভার আয়োজন করেছে। এই সাধারণ সভার বিরুদ্ধে গত ১৪ মার্চ বিজ্ঞ আদালতকে বিষয়টি অবগত করা হয়। আদালত আগামী ৩০ মার্চ শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করেন।
শাহ আলম বাসার আরো বলেন, রংপুর জেলা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই কমিটির পদে থাকাসহ রংপুর কালেক্টরেট শপিং কমপ্লেক্স মার্কেট ব্যবসায়ি মালিক সমিতির পদও ১৬ বছর ধরে আটকে রেখেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলারী ব্যবসায়ি সিরাজুল ইসলাম, পুলক বসাক, হারুনুর রশিদ, মুন্না, মামুন-১, মামুন-২, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় সভাপতি এনামুল হক সোহেল বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করে আসছি। কোন ধরণের অনিয়ম করা হয়নি।