রাজশাহী পুঠিয়ায় মুসা খাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১শত ১৭টি ঘর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তুবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তুবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৫শত ৯২টি ঘর নির্মণের কাজ শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। মুসা খাঁ নদীর নামকরণ অনুযায়ী এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে, মুসা খাঁ। এখানে ১১৭টি ছিন্নমূল মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করার কাজ চলছে। একটি ঘর নির্মাণ করতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা করে। বর্তমানে বেশিরভাগ ঘর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। আশ্রয়নে যাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা বলছে,এত নিম্নমানের কাঠ দিয়ে টিনের ছাউনি এবং ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ করার হচ্ছে। তাতে আগামীতে কোনো বড় রকমের কালবৈশাখী ঝড় হলে, ঘরগুলো টিনের ছাউনি উড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। তারপর, কাঁচা গাছের গুড়ি ফাড়ায় করে তাড়িঘড়ি টিনের ছাউনি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে,আগামী কয়েক মাসের ভেতরে ঘুনপোকা লেগে ঘরের বসবাস করা যাবে না। আশ্রয়ন প্রকল্পের অনেকে ঘর বরাদ্দ নিয়ে বসবাস না বলে অভিযোগ ইতোমধ্যে শুনা যাচ্ছে। অপর দিকে আবার অনেকে আবার,অনেক চেষ্টা করেও ঘর পাঁচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইট ভাটার মালিক বলেন,উপজেলার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিদের্শে শুধুমাত্র একটি ভাঁটা হতে এ পযর্ন্ত ৫৯২টি ঘর নির্মাণের ইট নেওয়া হয়েছে। আমার জানা মতে,আশ্রয়য় প্রকল্পে যে ইটভাটার ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তা উপজেলার ভেতরে সবচেয়ে নিম্নমানের ইট তারাই তৈরি করে থাকেন। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ করা ভাঁটা হতে ইট নেয় না বললেই চলে। তারপর, এদের ইটের মাফ ঠিক নেই। গাছে গুড়ি দিয়ে পোড়ানো ইট। তাই, তারা সবচেয়ে কম দামে আশ্রয়নে ইট বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তুবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমারা আশ্রয়নের কাজগুলি সঠিক ভাবে করে আসছি। এখানে দুই/একটি কাজের সমস্যা থাকতে পারে। বাকি কাজগুলি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হচ্ছে।