কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলাটি লক্ষাধিক লোকের বসবাস। সেই উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সেই উপজেলায় সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ঐ শয্যার লোকবল দিয়েই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সেবা চালাতে হচ্ছে। এতে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে ৩ জন ডাক্তার শুন্যপদ, ফার্মাসিস্ট ৩টি পদ, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ৫টি পদ থাকলেও বর্তমানে ২টি পদ দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এ ছাড়া রেডিওগ্রাফার ১টি পদ শুন্য রয়েছে। এক্্ররে ও আলট্রাসনোগ্রাম গত কয়েক মাস আগে স্থাপিত হয়েছে। এতে রোগীদের সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বেরে গেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, যেখানে প্রসূতি মায়েদের সন্তান প্রসবকালে ২/৩ বছর আগে মাসে ৮-১০ জন সন্তান প্রসব করা হতো। সেখানে প্রতি মাসে ৫০-৬০ জন প্রসূতি মায়ের সন্তান প্রসব করা হচ্ছে। বহির্বিভাগে রোগীদের সার্বক্ষণিক ডাক্তার ও নার্সগণ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ৩শত থেকে ৪শত রোগী ডাক্তাররা সেবা দিয়ে থাকেন। খাবারের মান আগের তুলনায় অনেক ভালো বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। জানাযায়, এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত বেডে ৪০-৫০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। ঔষধের সংকট নেই বল্লেই চলে। অন্যদিকে ইউনিয়ন কমিনিউটি ১৮ টি ক্লিনিকে কর্মকর্তারা সেবা দিচ্ছেন। কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাক্তার আদনান আখতার এই প্রতিবেদনকে বলেন, তিনি এই হাসপাতালে আসার পর পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন। তিনি বলেন, রোগীরা সঠিকভাবে ডাক্তার দ্বারা সেবা পাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। অচিরেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলে এই সংকট থাকবে না। তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ৫৫ জন প্রসূতি মা এই হাসপাতাল থেকে সন্তান প্রসব প্রক্রিয়া করে গেছেন। সামনে আরও কাজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।