বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে সৃষ্ট সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের আহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপিকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তীহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ। রোববার বেলা সারে ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন “বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটির” আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম ফারুক। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মো. ফরিদ উদ্দিন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মোসারেফ হোসেন খান।
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তিন পক্ষ ভিন্নি ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করেন। প্রশাসন তিন পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে সময় নির্ধারন করে দেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে কয়েকশ লোকজন নিয়ে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে আসতে চায়। এ সময় তাদের পুলিশ বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করে বাঁধা দেয়। পুলিশী বাধা অতিক্রমের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। যেখানে এমপি পক্ষের কোন নেতা কর্মী ছিল না। তখন প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার জনতা ও সমর্থকদের নিয়ে আ.স.ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা জনতা ভবন থেকে বের হয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২শ মিটার দুরত্বে তাহার ছাঁদ খোলা গাড়ীতে দাড়ানো ছিল, যাহা আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন। অথচ প্রথম আলো সহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ’এমপির সামনে কোপালো উপজেলা চেয়ারম্যানকে’ যা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, “আ.স.ম ফিরোজের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে” মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। একই সাথে বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সামসুল আলম মিয়া, কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ খান, জেলা পরিষদ সদস্য শাহজাহান সিরাজ, ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, উপজেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সামসুল কবির নিশাত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।