ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় লতিফা বেগম (৪২)নামে একগৃহ বধূর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই আপন দেবরের বিরুদ্ধে। তিনি আশংকাজনক অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ- প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তিনি নবীনগরের রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে প্রবাসী জাকারিয়ার স্ত্রী। ঘটনাটি গত রোববার দাররা গ্রামে ঘটেছে।
জানাযায়, দাররা গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে প্রবাসী জাকারিয়ার স্ত্রী লতিফা বেগমের সাথে তারই আপন ছোট ভাই জালালের সাথে কয়েকদিন আগে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো, তাতে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল, ওই ঘটনার জের ধরেই লতিফার গায়ে পেট্রোল ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ- প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করেন। লতিফা বেগম একই উপজেলার কালঘড়া গ্রামে হেলাল সরকারের মেয়ে। তিনি দুই সন্তানের জননী।
লতিফা বেগমের স্বামী মো. জাকারিয়া জানান, কয়েকদিন আগে লতিফার সাথে আমার ছোট ভাই জালালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা ঘরে বসে পিঠা তৈরি করছিলেন। এই সুযোগে পিছন দিক থেকে এসে লতিফার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আগুনে তার সারা শরীর ঝলসে যায়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অভিযুক্ত জালাল একজন মাদকাসক্ত,ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে গেছে,পারিবারিক বিবাদ নিয়ে সে এই কাজটি করেছে। অগ্নিদগ্ধ লতিফা বেগম ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।