ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আবারও তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ঠ ৪৯ জন গৃহহীন পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। "বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না"- এই স্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ঘর গুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে সরাইলে ৩১৪ জন গৃহহীনকে দেয়া হয়েছে ভূমি ও ঘর। সরাইলে মোট ৩৬৩ জন পেয়েছেন ঘর। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন -গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিবেন। বুধবার নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে সাংবাদিকদর প্রেসব্রিফিং কালে উপরোল্লেখিত তথ্য দিয়েছেন ইউএনও ও আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, 'ক' শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান কার্যক্রমের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১০২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ টি ঘর দেয়া হয়েছে। আর তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে সরাইলে ঘর পেয়েছেন ১৮১ টি পরিবার। কবুলিয়ত রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি সম্পন্ন করার পরই প্রধানমন্ত্রী ওই ঘর গুলি উদ্বোধন করেছেন। আজকের ৪৯টি ঘরেরও সকল কাজ শত সম্পন্ন হয়েছে। সরাইলে এ পর্যন্ত মোট ৩৬৩ টি গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন গৃহ। ২২ মার্চ সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর উদ্ধোধনের পাশাপাশি সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও বলেন, এটি একটি চলমান পক্রিয়া। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্য কোন কারণে কোন পরিবার ভূমিহীন গৃহহীন হলে ব্যব¯’া নেয়া হবে। সেখানে বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘর গুলি বিক্রয় বা অন্য যেকোন উপায়ে হস্তান্তরের কোন বিধান নেই। কেউ না থাকলে চাইলে আমাদের কাছে হ্যান্ড অভার করবেন। আমরা অন্য গৃহহীনকে দিব। এখন 'খ' শ্রেণির অর্থাৎ যাদের জায়গা আছে কিš‘ ঘর করার সামর্থ নেই। তাদেরকে নিয়ে ভাবছেন সরকার। সুবিধা ভোগীদের তালিকা তৈরীতে ¯’ানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশীদারিত্ব বা মতামত ছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে উপ¯ি’ত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ডেপুটেশন) মো. সাইফুল ইসলাম, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান, সাহিত্য সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসিদ, উপজেলা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, সাংবাদিক মো. আবেদুর শাহিন, মো. শরীফ উদ্দিন, নারায়ণ চক্রবর্তী, মো. আলমগীর মিয়া প্রমূখ।