জেলার আশাশুনি সদরে বিজ্ঞ আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল থাকাবস্থায় জমি জবর দখলের লক্ষ্যে সাইনবোর্ড স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে সেমাবার আশাশুনি সদরের শ্রীকলস গ্রামে।
শ্রীকলস গ্রামের আনার গাজীর ছেলে সিরাজ গাজী জানান, তারা ৫টি পরিবার (একসনা ইজারা কেস নং ৭৬/১২) ২০১২ সালে ২.০০ একর জমি ডিসিআর গ্রহন করে ভোগদখল করে আসছেন। একই গ্রামের রিজিয়া গং ডিসিআর এর বিরুদ্ধে এডিসি (রাঃ) আদালতে ১৬/১২ নং মামলা করলে ডিসিআর স্থগিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ দিং রিভিউ করলে পূর্বোক্ত স্থগিতাদেশ স্থগিত হয়। আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিনার খুলনায় ১৪/১৩ মামলা করলে আদালত সিরাজ দিং পক্ষে পূর্বোক্ত আদেশ স্থগিত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শুনানী শেষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি নিম্ন আদালতে প্রেরন করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে রিজিয়া খাতুন ভূমি আপীল বোর্ডে (১নং সদস্য) ৫-৬৯/১৩ মামলা করলে আদেশ স্থগিত করা হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে সিরাজ দিং মহামান্য হাইকোর্টে রিট ২৬২১/১৪ পিটিশন করলে স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত হন। কিন্তু ভূমি আপীল বোর্ডে মামলা চলমান থাকায় সিরাজ দিং হাজির না হওয়ার কারনে ২৭/৯/১৭ তাং ৫-৬৯/১৩ নং মামলায় রিজিয়া এক তরফা রায় প্রাপ্ত হন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সিরাজ দিং ভূমি আপীল বোর্ডে (২ সদস্য) আদালতে ৪-১১৯/১৯ মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলা বিলম্ব হওয়ার কারনে খারিজ করেন। তখন সিরাজ দিং ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর (ফুল বেঞ্চ) মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের তর্কিত আদেশ স্থগিত করেন। যা এখনো বলবত রয়েছে। বিধায় উক্ত ডিসিআর প্রাপ্ত জমিতে তারা (সিরাজ দিং) শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। অন্যদিকে রিজিয়া দিং ৫২০ দাগে ১৪.৭০ একর জমির মধ্যে ৫২০/৫৬৪ বাটা দাগে স্কেচ ম্যাপ করে ২.০০ একর জমি ভোগদখলে আছেন। যার মধ্যে রিজিয়া তার অংশের ৪২ শতক জমি বিক্রয় করেন। উক্ত সম্পূর্ণ ২.০০ একর জমি (বিক্রীত জমি ক্রেতার দখলসহ) ভোগ দখলে থাকা স্বত্বেও সিরাজ দিং এর ৫২০/৫২৩, ৫২৪, ৫২৫, ৫২৬, ৫২৭ বাটা দাগে ভোগ দখলে থাকা ৫ জনের ২.০০ একর জমি যাহা তাদের (রিজিয়া দিং) স্কেচ ম্যাপের দখল স্থান থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে নদীর অপর পাড়ে অবস্থিত হলেও সেখানে জবর দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করে সেখানে অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে দাবী করে প্রশাসন, জন প্রতিনিধি ও আইন আদালতের কাছে সুবিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগি সিরাজ দিং।