ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৪৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পেল মাথা গোজার ঠাঁই। “বাংলাদেশের একজনও গৃহহীন থাকবে না”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ঘর গুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত কালের ৪৯টি নিয়ে সরাইলে চার ধাপে জায়গাসহ ঘর পেয়েছেন ৩৬৩ টি পরিবার। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৫৯ টি উপজেলার সাথে সরাইলকেও ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন। এই কাজে সফলতার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, ইউএনও, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেছেন পক্রিয়াটি চলমান। ভবিষ্যতে একই ক্যাটারিগরির পরিবার বেরিয়ে আসতে পারে। তাদেরকেও ঘর দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। জেলা প্রশাসকদের এখন ‘খ’ শ্রেণির ক্যাটাগরি অর্থাৎ যাদের জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানায়, জমি ক্রয়, রেজিষ্ট্রেশন নাম খারিজসহ সকল কাজ সম্পন্ন করার পর প্রধানমন্ত্রী ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন উপকারভোগির হাতে। এই উপলক্ষে সরাইল উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের (৩১২) সংসদ সদস্য উম্ম ফাতেমা নাজমা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, মো. মনসুর আহমেদ, মো. ছায়েদ হোসেন ও সরাইল উপজেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমূখ। অতিথিরা উপকারভোগি নারী পুরূষদের হাতে জায়গার কাগজপত্রসহ ঘরের চাবি তুলে দেন। এর আগে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে সরাইলে ৩১৪ টি পরিবারকে দেয়া হয়েছে ভূমি ও ঘর। গতকাল চতুর্থ ধাপের ৪৯টি সহ মোট ৩৬৩ টি পরিবার পেল ঘর। বর্তমানে সরাইল ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত।