নওগাঁর নিয়ামতপুরে রোজার শুরুতেই ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে চরম হিমসিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্রেতাদের অভিযোগ, জবাবদিহির কোন বালাই নেই ব্যবসায়ীদের। সংশ্লীষ্টদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে দাম বাড়ানোর এমন সাহস পেতেন না বিক্রেতারা। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন বেশি দামে পণ্য কিনতে হয় তাই বেশি দামেই বিক্রি করছেন তাঁরা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে রমজান উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি জিনিষের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা তরি-তরকারির দাম। দুই দিন আগেও যেখানে বেগুন বিক্রি হচ্ছিল ৩০ টাকা কেজি, সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। শসা ২০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া করলা কেজি ৬০, আলু ৩৫ এবং টমেটো ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে দারুচিনি ৩৪০, এলাচ (কালো) ৯৫০, রসুন ২৭০, পেঁয়াজ ৩৫, আদা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইফতারির মুখরোচক খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত বেসন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, সয়াবিন (খোলা) ১৮০ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে, গত তিন দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা কেজি। প্রাথমিকের শিক্ষক গোলাম মোর্শেদ সবজির বাজার করছিলেন। তিনি জানান, রমজান আসলে পণ্যের দাম বাড়বে এটা নিয়মে পরিনত হয়েছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বাড়ার অংকটা এত বেশী বাড়বে তা ভাবিনী। এছাড়াও বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছেন তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। প্রশাসনের বাজারের ওপর নজরদারি না বাড়ালে বিপদেই পড়তে হবে সাধারণ ও কেচে খাওয়া মানুষকে। বাজারে সবজি বিক্রেতা সাব্বুর রহমান জানান, আমরা মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী থেকে কাঁচা তরকারি পাইকারি নিয়ে আসি। তরকারির মোকামে দাম বাড়ায় এবং পরিবহন খরচের কারণে শসা, বেগুন বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মুরগি ব্যবসায়ী আক্কাস আলী বলেন, দেশি মুরগি গ্রাম থেকে কিনতে হয় বেশি দামে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, ‘কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বাড়লেও ডাল, চিনি, বেসন, ছোলার দাম আগের তুলনায় কম রয়েছে। রমজানজুড়ে এসব পণ্যের দাম না বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব¡ সহকারে দেখা হচ্ছে। দ্রত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।