ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন শুক্রবারে জমে উঠেছিল ইফতারের ফল বাজার। উপজেলা বাজারের অলিগলির আশপাশ জুড়ে, রাস্তার ধার দিয়ে ও বাজারের উন্মুক্ত জায়গা জুড়ে ফলের দোকানে ছেয়ে যেতে দেখা গেছে। পবিত্র জুম্মার নামাজ পড়েই ইফতারের ফল কেনার জন্য ঝুকে পড়েন সমবেত মুসুল্লিরা। চৈত্রের খড়তাপে শুস্ক কণ্ঠনালী ও গলাটা সিক্ত করতে প্রতিদিন রোজাদাররা শত শত টাকা ব্যায় করে ইফতার করার জন্য ছুটে বেড়ায় বিভিন্ন ফল ও শরবতের দোকানে। কিন্ত এ বছর বাজারের অনেক ফলই জীবন নাশক বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এতে রোজার পবিত্রতা বিনষ্ট হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার, এ প্রতিবেদকের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার জানান, “তিনশত টাকা দিয়ে দেখারমত একটি তরমুজ কিনে পুরোটাই গচ্চা খেয়েছি। তরমুজটিতে এমন মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে যে, ভিতরে ফাংগাস পড়ে সাদাইসে কালার সহ জাইমরে ধরে আছে। তাই পুরো তরমুজটি ফেলে দিতে হয়েছে”। সরেজমিনে জানা যায়, রমজান মাসে অতিরিক্ত লাভ করতে গিয়ে উপজেলার ফল ব্যবসায়ীরা বাঙ্গি, তরমুজ, আম, কাঠাল, কলা সহ বিভিন্ন দেশী ফলে কার্বাইড ও ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে এবং বিদেশী ফলগুলো স্প্রে মেডিসিনের মাধ্যমে সংরক্ষরন করে বাজারজাত করে চলেছেন। এতে উপজেলার রোজাদারের জীবন নাশক ক্রীয়ায় লিপ্ত রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবুও রসনা বিলাসে থেকে নেই উপজেলার রোজাদাররা।