রমজান মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় আবাসিকে গ্যাস সরবরাহ সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের পিক সময়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং সার শ্রেণিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। জানা গেছে, গ্যাস সরবরাহে বিবেচ্য বিষয়ের একটি তালিকায় এসব কথা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। রমজান, সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকালে গ্যাস উৎপাদন, আমদানি ও বরাদ্দ বিবেচনায় নিয়ে এই পরিকল্পনা তৈরি করেছে সংস্থাটি। এরইমধ্যে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে এই তালিকা মেনে গ্যাস সরবরাহের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পট্রোবাংলা বলছে, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। তার মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৮৫০-২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় নিয়মিতই এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে সরবরাহ বাড়ানোর কাজটি করতে হয়। এতে আবাসিক গ্রাহকেরা দিনের বড় একটা সময় গ্যাস পান না। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, বিদ্যুৎ ও শিল্পে সরবরাহ বাড়ানোর সময় আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের চাপ কিছুটা কমবে। আবাসিক খাতের পরিস্থিতি এখনকার মতোই থাকবে। কিছুকিছু সময় একটু সমস্যা হতে পারে। বিবেচ্য বিষয়ের তালিকায় দেশীয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান জোরদার, জ্বালানি-দক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এবং প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে গ্যাস সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।