শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রোজার মাস। রোজার শুরুতেই চাটমোহরের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। রমজানের আনন্দ যেন ম্লান হয়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্দিার কারণে।
বিশেষ করে রোজার পণ্য হিসেবে পরিচিত বেগুন ও খিরা দাম এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর একই সময়ে লেবুর দাম বেড়েছে হালিতে ১০ টাকা করে।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে,মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০/৭০ টাকায়। সেই বেগুন বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। একই চিত্র লেবু বাজারেও। প্রতি কেজি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। খিরার কেজি ৫০ টাকা,যা বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। এছাড়াও ২ দিনের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে পটোল,ঢ্যাঁড়স ও করলার দাম। বাজারে পটল ৮০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা ও করলা ১০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়াও সিম ১০০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা আর প্রতি কেজি সজনে ১৪০ টাকা,পেপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে,বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ৪০ টাকায়। এছাড়াও আদার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে রশুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
এদিকে, রোজা আসার মাস খানেক আগেই মাছ-মাংস ও ডিমের বাজার চড়েছে। যা অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। আর খাসির মাংসের দাম এক হাজার টাকা কেজি। বাজারে লাল ডিম ৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ৪৮ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশী মুরগি ৫৫০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পৌর শহরের অন্যতম বড় বাজার চাটমোহর পুরাতন বাজারের ক্রেতা লুৎফর রহমান বললেন,ভাই এইটা কোন কথা হইলো। একদিন আগে যে তরকারি (সবজি) ৪০ টাকা কেজি ছিল,আজ ৬০ টাকা কেজি। আমরা কী খাবো না। রোজার অজুহাতে উচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে,কেউ কিছু বলছেনা।” বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান,মুরগি কিনতে এসেছিলাম। সাহসে কুলোয়নি তাই চলে যাচ্ছি।
বাজারে আসা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাদের দুর্দশার কথা জানা গেছে। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছে। সংসার চালানো নিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছে।