বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে কুমিল্লার হোমনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যাপক বিপর্যয়ের ফল উপজেলার প্রায় পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রবি ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়়ে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে গেছে রাস্তাঘাটে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাট পরিষ্কারে কাজ করেছেন।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০৩ এর ডিজিএম শওকাতুল আলম জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যুতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ৭০ হাজার গ্ৰাহক রয়েছে। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ভেঙে গিয়ে অন্তত ষাট শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের ১৪টি খুঁটি, ১০ টি ইনস্যুলেটর, ৬টি ক্রস আর্ম এবং অন্তত ৩০টি স্পটে তার ছিড়ে গেছে। পৌরসভা, ঘারমোড়া ও কৃষ্ণপুরসহ কয়েকটি এলাকা ব্যতীত উপজেলার সব জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় পড়ে।
তিনি বলেন, আশা করছি- দ্রুতই সকল কাজ সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবো।
উপজেলার দড়িচর গ্ৰামের কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এবার আট বিঘা ভুট্টা চাষ করেছি। কালবৈশাখীর ঝড়ে জমিতে পানি জমে প্রায় এক বিঘা জমির ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবারের কালবৈশাখী ঝড়ে জমিতে পানি জমে এবং হেলে গিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ ভাগ ভুট্টার ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া মাঠে রবি ফসল তেমন নেই। আমাদের উপজেলায় ৬শ' হেক্টর ভুট্টার আবাদ হয়েছে। কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি এবং অনেক আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের গাছ ভেঙ্গে গেছে। প্রকৃত তথ্য এখনও নিরূপণ করতে পারিনি। উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪৪২ হেক্টর। এর মধ্যে কিছু জায়গায় বোরো ক্ষেতের ধানের চারা হেলে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, এখনো পুরো তথ্য পাইনি। খোঁজ খবর নিচ্ছি।