বগুড়ার গাবতলীতে বরেন্দ্র সেচের অপরেটর থেকে বাদ পড়ায়, ক্ষিপ্ত হয়ে মেশিন ঘরে হামলা চালিয়ে মিটারবক্্র ভাংচুর ঘরে তালা লাগানোসহ কয়েকজনকে আহত করা করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার স্থান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেশিয় অস্ত্র ও মরিচের গুড়া উদ্ধার করেছে।
শনিবার (২৫মার্চ) সকাল ৮টায় গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলিহাটা ফকিরপাড়া ফসলের মাঠে এঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গাবতলী সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে ভর্তি হয়েছে।
জানাগেছে, এলাকার কৃষকদের বিভিন্ন ফসলে পানি সেচের সুবিধার জন্য ২০১০ সালে বগুড়া বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামে, মাসুন্দি মৌজায় ১১৩১ নং দাগে বিএমডিএ গভীর নলকুপ স্থাপন করে। শুরু থেকেই ওই বিএমডিএ গভীর নলকুপের অপরেটর হিসাবে একই গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের কারনে, বিএমডিএ বগুড়া জোন’র সহকারী প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমান ২১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে সিরাজুল ইসলামকে অপরেটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। তার স্থলে তেলিহাটা গ্রামের বাদশা প্রামানের ছেলে হাল্লু প্রমানিককে ‘অপরেটরের খন্ডকালিন’ নিয়োগ প্রদান করেন।
বিষয়টি অবহিত করে ২৭ ডিসেম্বার ২০২২ তারিখে ওই প্রকৌশলী গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বরাবর করে একটি পত্র প্রেরন করেন। এর অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রদান করেন।
শনিবার ঘটনার দিন সকালে সিরাজুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বরেন্দ্র বহুমুখি অগভীর সেচ অফিস খোলা পেয়ে ঘরে ঢুকে মিটার বক্রসহ বৈদ্যুৎতিক সরঞ্জাম ভাংচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ’র ঘটনা ঘটে। এতে হাল্লু, সুজন, মান্নান, জেলাল, পেয়ারা বেগমসহ কয়েকজর আহত হয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও, পরিত্যাক্ত অবস্থায় কয়েকটি ধারালো দেশিয় অস্ত্র, মরিচের গুড়া উদ্ধার করে বলে স্থানীয়রা জানায়। সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংবাপয়ে ঘটনার স্থানে এস আই রয়েল ও ত্রিদীপকে পাঠানো হয়েছি। পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেশিয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় কোন পক্ষ (এ রিপোর্ট লেখা পর্য়ন্ত) এখনো মামলা দেয়নি।