খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ও হরিঢালী থেকে নামমাত্র মূল্যে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন, ভ্যান, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রিতে প্রলুব্ধ করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে সটকে পড়েছে কথিত আল-কারিম ট্রাষ্ট নামে হায় হায় কোম্পানীর প্রধান মুফতি শাখিল আহম্মেদ নামে এক প্রতারক। শাখিলের বাড়ি উপজেলার তকিয়া গ্রামে বলে জানানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, শাখিল আহম্মেদ কাতার ও দুবাই ভিত্তিক কথিত ট্রাষ্টের নামে প্রথমত যৎসামান্য মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করে। লোভনীয় নামমাত্র মূল্যে পণ্য বিক্রি, প্রচারণা ও তদারকির জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। এসব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সেলাই মেশিন প্রতি ২ হাজার ৫ শ’, বাইসাইকেল প্রতি ৩ হাজার, মোটর ভ্যানের বিপরীতে ১০ হাজার, ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের বিপরীতে ২০ হাজার, ইজিবাইক প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে পরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্য প্রদানের শর্তে কয়েক কোটি টাকা গ্রহণ করে। এর আগে তারা উপর্যুক্ত হারে জনপ্রতি টাকা নিয়ে কিছু মানুষকে পণ্য দিয়ে সাধারণকে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। বিষয়টি স্থানীয় ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক প্রচার হলে বিস্তীর্ণ এলাকার সর্বসাধারণ স্বল্প মূল্যে পণ্য প্রাপ্তির আশায় নিয়োগকৃত এজেন্টদের মাধ্যমে আল-কারিম ট্রাষ্টে টাকা জমা দেয়। তবে সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ শাখিল আহম্মেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বিস্তীর্ণ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষের বিপুল পরিমাণ টাকা খোঁয়া যাওয়ায় প্রতারণার শিকার মানুষের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গেছে। এলাকার এজেন্টদের মাঝে একপর্যায়ে উৎসব বিরাজ করতে থাকে। তাদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এলাকার মানুষ স্বল্প মূল্যের পণ্যের আশায় টাকা দিয়ে সিরিয়াল দিতে থাকেন। অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ে এজেন্টদের কাছে। এদিকে আল-কামি ট্রাষ্টের নিয়োজিত স্থানীয় পরিচিত কতিপয় এজেন্টদের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি তাদের জমা বা লগ্নিকৃত বিপুল পরিমাণ টাকা এসব এজেন্টদের কাছেই জমা রয়েছে। ট্রাষ্টের প্রধান শাখিলকে কৌঁশলে সরিয়ে এজেন্টরা সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।