বাগেরহাটের শরণখোলায় পরপর দুই রাতে চোরচক্র ১টি গরু ও ১টি মহিশ জবাই করেছে। সোমবার (২৭মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে একটি জবাই করা মহিষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া দুইটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। অপরদিকে রোববার গভীর রাতে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমানের পুত্র কৃষক রফিকুল ইসলামের গরু চুরি করে তা জবাই দিয়ে নাড়ি-ভুড়ি ও চামড়া রেখে মাংশ নিয়ে পালিয়ে যায় চোর চক্র। পর পর এ ঘটনায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ আঃ সালামের পুত্র রাজু সাংবাদিকদের জানান, গভীর রাতে খুড়িয়াখালী গ্রামের পিলের রাস্তা সংলগ্ন বাগান থেকে তাদের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি মহিষ চুরি হয়। রাতেই মহিষ খুঁজতে গিয়ে গ্রামের আলাল তালুকদারের বাড়ীর বাগানে প্রভাবশালী চক্রের কয়েকজনকে মহিষ জবাই করে মাংস ভাগ করতে দেখে। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্রের লোকজন দ্রুত মাংস, চামড়া ও তাদের দুইটি মোটর সাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাংস ও মোটর সাইকেল দুটি থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানায় সকালে গোয়াল ঘরে গিয়ে দুটি গরুর একটি দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোজি শুরু করে। পরে মাঠের মধ্যে গরুর নাড়ি-ভুড়ি ও চামড়া দেখতে পায় এবং তা দিয়ে গরুটি সনাক্ত করে। এ ব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, গরু চুরির ঘটনা এলাকাতে মাঝে মাঝে শোনা যায় তবে গরু জবাই করে মাংশ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করবেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, মহিষ চুরির খবর পেয়ে রাতেই খুড়িয়াখালী গ্রাম থেকে জবাই করা মহিষের মাংস ও দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া দুইটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাংস বিক্রি করে দেওয়ার জন্য মহিষের মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।