গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপি ও জাল টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান উপণ্ডপুলিশ কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান। গ্রেপ্তাররা হলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার হাতড়াপাড়া এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম ওরফে সবুজ (২৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার সুকদেব গ্রামের মৃত গফুর আলীর ছেলে ছামিউল ইসলাম (৩০), একই এলাকার দোলপকুঠি গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে মো. ছালেক (২৭) ও সুনামগঞ্জের বিশ্বরপুর থানার গনগাঁও জিনারপুর বাজার এলাকার রমজান আলীর ছেলে খোরশেদ আলম ওরফে গিট্টু (৩২)। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় অভিযান চালায় সদর থানাপুলিশ। এ সময় মাজহারুল ইসলাম সবুজের হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি, দুই লাখ ২০ হাজার জাল টাকা এবং ছামিউল ইসলামের লুঙ্গির পেছনের অংশে গোঁজা অবস্থায় দুটি বান্ডিলে এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, এসব জাল টাকা ও জাল রুপি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় জনৈক আলাউদ্দিন তৈরি করেন। তার সহযোগী খোরশেদ আলম গিট্টু বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম নগরীর বাহাদুরপুর শিকদারবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিট্টুর সঙ্গে সালেক নামের আরেকজনকে আটক করা হয়। তখন খোরশেদ আলম ওরফে গিট্টুর হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে এক লাখ ৭৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপি এবং দুই লাখ ৫২ হাজার জাল টাকা পাওয়া যায়। সালেকের দেহ তল্লাশি করে তার পরিহিত লুঙ্গির পেছনে গোঁজা অবস্থায় ৯০ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চক্রটি সারাদেশে জাল নোট তৈরি ও সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। উপণ্ডপুলিশ কমিশনার ইব্রাহিম খান বলেন, আটকদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। জড়িত অন্যরাসহ মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ সময় উপণ্ডপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আবু তোরাব মো. সামছুর রহমান, অতিরিক্ত উপকমিশনার রেজওয়ান আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।