সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রাশেলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। রাশেল ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। নিহত শাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল (২৬) সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর (ভূঁইয়া দিঘী)মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহ প্রকাশ জসিমের বড় ছেলে।
শাহিদুল ইসলামের পিতা শরিয়ত উল্লাহ প্রকাশ জসিম জানায় তার বড় ছেলে মোঃ শাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল গত বছরের এপ্রিল মাসে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। সেখানে আবাহ এলাকার মাকান কেপেটেরিয়া কোম্পানীর একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। সোমবার কোম্পানি থেকে ৩দিনের ছুটি নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশী একটি হজ¦ এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ পালনের উদেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী বাসটি ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় পৌছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশী। দুর্ঘটনায় ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৮জন বাংলাদেশী ছিল এবং তাদের মধ্যে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির দক্ষিন মোহাম্মপুর (ভূঁইয়ার দিঘী)এলাকার মালেক মোল্লার বাড়ির প্রবাসী শাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রাশেল ছিলেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাশেল সবার বড়। পরিবারের দাবী কোম্পানি নিকট সকল পাওনাসহ যেন লাশ দ্রুত সময়ে দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করে।