নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের দুইপাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ঘর উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২৯ মার্চ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ওই উচ্ছেদ অভিযান। এতে নের্তৃত্ব দেন রেলওয়ের নির্বাহী সহকারী প্রকৌশলী।
রেল সুত্র জানায়,দীর্ঘদিন থেকে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে,পিছনে, উত্তরে, এক নং ও দুই নং রেল ঘুমটির রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধ ব্যবসায়িরা দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছে। কোন কোন ব্যবসায়ি কাঁচা ঘর থেকে রাতের অন্ধকারে পাকা ঘর নির্মাণ করে। আবার কেউ কেউ রেললাইনের ওপর ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসে থাকে। ট্রেন আসার সময় হলে তারা দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। ফলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকজন লোক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ বার বার তাদেরকে নোটিশ করলেও তারা কোন কর্ণপাত করেন না।
ট্রেন চলাচলে দুর্ঘটনা এড়াতে তাই করা হয় উচ্ছেদ অভিযান। অভিযানে প্রায় দুই শতাধিক দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়।
কোন কোন ব্যবসায়ির অভিযোগ তারা রেল কর্তৃপক্ষকে দোকান বাবদ টাকা দিয়ে থাকেন। টাকা দেয়ার পরও উচ্ছেদ কেন এ প্রশ্ন অনেকের।
রেল স্টেশন থেকে দুই নং রেল ঘুমটি পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। ওই দোকান থেকে প্রতিদিন নাকি টাকা দেয়া হয়। তাহলে এত টাকা কার পকেটে যায়। কে এ টাকাগুলো নিয়ে থাকেন। আসলে টাকাগুলো কি সরকাটী কোষাগারে জমা হয়। নাকি চলে যায় নেতা ও কর্মকর্তার পকেটে। এটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই সকল দোকানে বৈদ্যুতিক সংযোগ এলো কিভাবে। এটিও দেখার বিষয়। বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলে প্রায় কয়েক সপ্তাহ লেগে যায় কিন্তু ওই সকল দোকানে সংযোগ নিতে একদিনও লাগে না। এমন প্রশ্ন সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তোলে। রেলওয়ের এক কর্মচারী জানান, সব খানে অনিয়ম। যারা উচ্ছেদ করছে তারাই অর্থের বিনিময়ে দোকান ঘর তুলতে সহযোগিতা করে থাকে।