আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডীয় সম্পত্তি অধিগ্রহণ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেটেলমেন্ট কর্তৃক নয়নজলীতে খাস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ ও প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন রেকর্ডীয় মালিক কুল্যা গ্রামের শেখ নজর উদ্দীনের ওয়ারেশগণের পক্ষে ছেলে শেখ বাদশা।
লিখিত অভিযাগ সূত্রে জানাগেছে, বুধহাটা গ্রামের দেলবার ফকিরের স্ত্রী ফুলজান বিবি বুধহাটা মৌজার ৫৩৬নং এসএ খতিয়ানের মালিক। আশাশুনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বিগত ১৯/০২/১৯৭৩ তারিখে ৮৯৩নং দলিলে ফুলজান বিবি তার এসএ খতিয়ানের ১৪৩৮ ও ১৪৫০ দাগের মধ্য হতে ৫২শতক সম্পত্তি কুল্যা গ্রামের শেখ নজরউদ্দীনের নিকট বিক্রি করেন। তৎকালিন সময়ে দলিল বুনিয়াদে এসএ মিউটেশন করে তামিল করা হয়। যার খতিয়ান নং ৫৩৬/১। জমিতে তারা শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল ছিলেন। নদী ভাঙ্গনের ফলে সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ সরকার নদী লাগয়া কিছু সম্পত্তি অধিগ্রহণ করলেও ১৪৩৮ ও ১৪৫০ দাগ অধিগ্রহণ করেননি বলে সাতক্ষীরা এলএ শাখা সূত্রে জানাগেছে। তবে সর্বশেষ সেটেলমেন্ট জরিপে ১৪৩৮ ও ১৪৫০ দাগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নয়নজলীর ২৮৪৭দাগে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূলের কারণে ২নং খতিয়ানে ২৮৪৭দাগে নয়নজলী শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক শেখ নজরউদ্দীনের ওয়ারেশগণ মালিকানা হারিয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ওয়ারেশ গণের পক্ষে পুত্র শেখ বাদশা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার পৈত্রিক রেকর্ডীয় সম্পত্তি ২নং খতিয়ানে ২৮৪৭দাগে নয়নজলী শ্রেণি থেকে অবমুক্ত পূর্বক রেকর্ড ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।