কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আদালত পরিচালনা করেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন; জীব বৈচিত্র্য এবং প্রকৃতি রক্ষা করার স্বার্থে অবিলম্বে পাহাড় কাটা বন্ধ করা উচিৎ।'
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানাগেছে, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মানিক্যমুড়া নামের একটি বড় পাহাড় রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে ট্রাকের পর ট্রাক দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্র। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল ইহসান খানের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া।
মানিক্যমুড়া পাহাড় ও রাস্তা থেকে বেশ কয়েকটি মাটি কাটার ট্রাক জব্দ করে ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন করেন ইউএনও। তিনি ট্রাকের মালিক কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৪)কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। খাইরুল ভবিষ্যতে আর পাহাড় কাটবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল ইহসান খান বলেন, মানিক্যমুড়া এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে আড়াটা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এ অভিযানে ট্রাকের মালিক খাইরুল ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে আর পাহাড় কাটবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। পাহাড় মালিককে রাতে আঁধারে খুজে পাওয়া যায়নি। খোজঁ নিয়ে তাঁর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।