ঈদে ছয় দিন ফেরি দিয়ে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ‘ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা’ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিনদিন পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় থাকে। এজন্য নৌ চলাচলের জন্য সংকেত মেনে চলতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন, নৌ পুলিশকে আরো সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সদরঘাট এলাকায় বিশেষ করে যখন লঞ্চগুলো আমাদের এখান থেকে ছেড়ে যাবে তখন বড় লঞ্চগুলো ভিড়বে তখন ছোট ছোট নৌযান চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এটা কঠোরভাবে দেখছি। সন্ধ্যার পরে কোনো বাল্কহেড চলাচল করবে না। এটা আরো কঠোরভাবে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা পাবলিক মিটিং করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাই। এখানে যারা আছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিত যে তারা ৪-৫ লাখ মানুষকে, মানুষের কষ্ট হয় কিন্তু বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে না। আমি মন্ত্রী হিসেবেও এই পথ দিয়ে সদরঘাটে যেতে পারিনি। অন্য নৌপথ দিয়ে যেতে হয়েছে। কাজেই এই চ্যালেঞ্জ আছে। তা মোকাবিলার জন্য বসেছি।
তিনি বলেন, ঈদের সময়ে লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। ঈদের সময় লঞ্চে সেই নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়। পদ্মা সেতুতে যেহেতু কোনো মোটরসাইকেল চলবে না, সে কারণে আমরা শিমুলিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখছি। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি মোটরবাইক পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।